Sunday, May 19, 2013

হেডফোন হতে পারে শ্রবণ ঘাতক


পকেটে স্মার্টফোন। তার অথবা তারমুক্ত হেডফোন কানে ঢুকিয়ে চুপটি করে বসে আছেন। চলছে হাইবিটের গান। তরুণদের প্রাত্যহিক জীবনে নতুন সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে এমন দৃশ্য। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, হেডফোনের বিনোদন ধীরে ধীরে আমাদের বধির করে দিতে পারে। একই সঙ্গে হার্টের সমস্যা তৈরি হওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমপি থ্রি আইফোন ব্যবহারকারীদের কিছু হেডফোনে স্বল্পমাত্রায় ব্যবহৃত চুম্বক শরীরের প্রেসমেকার এবং ডেফিক্সিলেটর প্রভৃতির কাজের গতি-প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট ফাউন্ডেশন। চুম্বকের কারণে এসব ডিভাইসের সঠিক কার্যক্রম বিঘিœ হয় এবং হার্টের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তবে যারা হেডফোন ব্যবহার করেন তাদের সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিরাম দিন : শব্দ শ্রবণের গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনে। যেসব প্রতিষ্ঠান মিউজিক ডিভাইস তৈরি করে তারা এসব গাইড অনুসরণ করে ডিভাইসের সাউন্ড ডেভেলপ করতে বাধ্য থাকে। তাই এসব পরীক্ষিত মিউজিক প্লেয়ারে ফুল সাউন্ডে গান শুনলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়, তবে সমস্যা হচ্ছে অন্যত্র। একটানা বেশি সময় ধরে কোনোভাবেই গান শোনা উচিত নয়। অবশ্যই গানের মাঝে বিরাম দিতে হবে।
সঠিক মাত্রায় ভলিউম : আপনি যদি শান্ত কোনো রুমে বসে এমপি থ্রি প্লেয়ারে শুনতে থাকেন তবে ভলিউম অর্ধেক পর্যন্ত কিংবা তার কমে দিয়ে শুনলে সেটা ক্ষতির কারণ হওয়ার কথা নয়। তবে সব সময় একই মাত্রার শব্দে গান শোনা কানের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কানের ক্ষতি তাৎক্ষণিক বোঝা যায় না। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।
প্লেয়ার বা হেডফোনের মান : ডিভাইস কেনার আগে অবশ্যই তার মান দেখে নিতে হবে এমনটিই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক ডিভাইসই বাজারে রয়েছে, যেগুলো মান নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি করা হয় না। অবশ্যই এগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়